এজরা পাউন্ড (১৮৮৫-১৯৭২) কবি, সমালোচক, সম্পাদক, অনুবাদক হিসেবে বিশ শতকের আমেরিকান তথা বিশ্ব সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। তাঁর সময়ে ইংরাজি ও আমেরিকান সাহিত্যের আধুনিকতা, সাহিত্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিয়ে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অ-পশ্চিমী এবং প্রাচীন সংস্কৃতির নানাদিককে কবিতায় নিয়ে আসা এবং প্রথা-জাড্যকে নির্মমভাবে অস্বীকার করার প্রধান প্রবক্তা ছিলেন তিনিই। তাঁর ছোট ছোট কবিতাগুলো থেকে মাস্টারপিস বলে খ্যাত ‘ক্যান্টোস’ পর্যন্ত তার নিরীক্ষা কখনও থেমে থাকেনি এবং এক্ষেত্রে তার সাফল্য ও স্বার্থকতা বিশ্ববিদিত। একজন সমালোচক ও সম্পাদক হিসেবে পাউন্ড এমন অনেককে আবিষ্কার করেছেন, সাহস যুগিয়েছেন। যাদের অনেককেই বিশ্বসাহিত্যের একেকজন দিকপাল হিসেবে আজ আমরা জানি। এদের মাঝে জেমস জয়েস, টি.এস.এলিয়ট, রবার্ট ফ্রস্ট ও আর্নেস্ট হেমিংওয়ে উল্লেখযোগ্য। একজন প্রাবন্ধিক হিসেবে আমরা তার কাছ থেকে কবিতার আঙ্গিক, শৈলী ও বিষয় নিয়ে অত্যন্ত মূল্যবান মন্তব্য পেয়েছি।
Monday, August 31, 2015
এজরা পাউণ্ড-এর কবিতা
অনুবাদ দীপায়ন দত্তরায়
এজরা পাউন্ড (১৮৮৫-১৯৭২) কবি, সমালোচক, সম্পাদক, অনুবাদক হিসেবে বিশ শতকের আমেরিকান তথা বিশ্ব সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ। তাঁর সময়ে ইংরাজি ও আমেরিকান সাহিত্যের আধুনিকতা, সাহিত্যের বিষয় ও আঙ্গিক নিয়ে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা, অ-পশ্চিমী এবং প্রাচীন সংস্কৃতির নানাদিককে কবিতায় নিয়ে আসা এবং প্রথা-জাড্যকে নির্মমভাবে অস্বীকার করার প্রধান প্রবক্তা ছিলেন তিনিই। তাঁর ছোট ছোট কবিতাগুলো থেকে মাস্টারপিস বলে খ্যাত ‘ক্যান্টোস’ পর্যন্ত তার নিরীক্ষা কখনও থেমে থাকেনি এবং এক্ষেত্রে তার সাফল্য ও স্বার্থকতা বিশ্ববিদিত। একজন সমালোচক ও সম্পাদক হিসেবে পাউন্ড এমন অনেককে আবিষ্কার করেছেন, সাহস যুগিয়েছেন। যাদের অনেককেই বিশ্বসাহিত্যের একেকজন দিকপাল হিসেবে আজ আমরা জানি। এদের মাঝে জেমস জয়েস, টি.এস.এলিয়ট, রবার্ট ফ্রস্ট ও আর্নেস্ট হেমিংওয়ে উল্লেখযোগ্য। একজন প্রাবন্ধিক হিসেবে আমরা তার কাছ থেকে কবিতার আঙ্গিক, শৈলী ও বিষয় নিয়ে অত্যন্ত মূল্যবান মন্তব্য পেয়েছি।
অনুবাদ
প্রসঙ্গে পাউন্ড বলেছিলেন,
"No
translation has to reproduce all aspects of the original. It can choose to
concentrate on only some aspects. It can leave part of the original out. It may
even add to it or rearrange it in order to accomplish the translator's
purpose."
অনুবাদ
করার সময়ে আমি ওনার এই কথাগুলো মাথায় রেখেছি, জানিনা আমার
অনুবাদে এর কতটা প্রতিফলন ঘটাতে পেরেছি। তবে আশা করি ওনার
একটা আদেশ আমি যযথাযথভাবে পালন করতে পেরেছি,তা হল : "translations should be
new poems"...আদৌ পেরেছি কিনা তা বিচার করবেন আপনারা। তবে
একথা স্বীকার করেই নিচ্ছি নির্দ্বিধায় যে পাউন্ড আমার চেয়ে 'better craftsman'(ilmiglior
fabbro)...স্বয়ং এলিয়ট বলে গেছেন যে!
এবং
এই দিনগুলো যথেষ্ট নয়
এজরা
পাউন্ড
এবং
এই দিনগুলো যথেষ্ট নয়
এবং
এই রাতগুলো যথেষ্ট নয়
আর
জীবন ক্ষেতের ইঁদুরের মতো ফস্কে যায়
স্থবির
ঘাসের উপর দিয়ে।
অভিবাদন
এই
যে বরাবরের আত্মতুষ্ট
আর বরাবরের অখুশি প্রজন্ম,
আমি
দেখেছি জেলেদের সূর্যে বনভোজন করতে
আমি
দেখেছি ওদের অপরিস্কার দলবলে
আমি
দেখেছি ওদের দাঁত বের করে হাসতে
আর শুনেছি ওদের বেয়াড়া অপহাস।
আর
আমি তোমাদের থেকে বেশি সুখী
আর
ওরা আমার থেকে বেশি সুখে ছিল;
আর
মাছেরা পুকুরে সাঁতার কাটে
আর পোশাকও পরে না।
একটা
চুক্তি
একটা
চুক্তি করা যাক,ওয়াল্ট হুইটম্যান-
অনেকবছর
ঘেন্না করেছি তোমাকে,
আজ
এসেছি একজন বেড়ে ওঠা শিশুর মতন
যার
একটা একগুঁয়ে বাপ আছে;
এখন
আমি যথেষ্ট বড়ো হয়েছি বন্ধু বানানোর জন্য,
তুমিই
সেই যে নতুন কাঠ ভেঙেছিলে,
আমাদের
রসও এক মূলও এক-
চলো
একটা সওদা করা যাক।
কোনো
এক মেট্রো স্টেশনে
ভিড়ে
এই প্রেতদের মুখ;
একটা
ভেজা, কালো ডালে কিছু পাপড়ি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment