Monday, August 31, 2015
ঝুরোকবিতা সিরিজ
(১১)
নাচঘরে তুমি হারিয়েছিলে নাকছাবি চানঘরে আসমান
নিজস্ব আড়াল থেকে ডেকেছিল বোস বাড়ির বউ
যাচ্ছে তো যাচ্ছেই একটা ঘুরপাক খেয়ে
কবে যে ফিরবে সে আটচালায়
এই যেমন তুমি আমার কেউ নও কখনও
সস্তা দরে বিকিয়ে যাচ্ছে শিমূলের চারা
বুঝলে একটা হেস্তনেস্ত হওয়া দরকার আজকেই
দম হারিয়ে কুকুরটা এখন কামড়াচ্ছে নিজেরই অন্ডকোষ
(১২)
আমার ছবি দেখে ছবিওয়ালা একটা ছবি এঁকেছিল
কোথায় যে গেল ঘরের তক্তাপোষ বিছানা বালিশ
সোমা নামে ডাকতে সে বলল নাম তার স্বৈরিনী
আজ বড় মন খারাপ নন্দনার ডুগি কেন বাজে না আর
সেই যে গোপন সুখের কথা তুমি বলেছিলে
তিন লাফ চার লাফ আমি ছিলাম দশ লাফের নাগালে
রাশি রাশি ফুল বাগানে বড় রাস্তা জুড়ে মঙ্গলাহাট
জলসাঘরের আলো ক্লান্ত হয় শীতের সন্ধ্যায়
(১৩)
এই তো সেই মেয়ে যার নামে সব পুতুল কেঁদেছিল
পাঁচমাথার মোড়ে ট্র্যাফিক জ্যাম মাঝরাতে
একটা টানা বৃষ্টির দিন হলুদের দিন হলুদ হলুদ
তবে কি আজ রমার পাকা দেখা হলো
কানাই কানাই বাবা কানাই আমার
তোমাকে আড়াল করে আমি না হয় প্রকাশ্য হলাম
উইক এন্ডে বেড়িয়ে এলাম লোনাভালা
(১৪)
আমার হাত না ধরে মোনালিসা বলল এবার কেটে পড়ো
বনমালী লেনে তখন দুরন্ত বাস মদালসা সর্বনাশ
পাত পেতে খাওয়া হয়নি বহুদিন কেন এত পাতার অভাব
একটা ঘুর্ণিঝড় কোমেন নেতাজী পল্লীর পাকাঘরে
রাত অনেক হলো সোনামনা চলো শুতে যাই
পর্দা ওড়ে বইয়ের পাতা ওড়ে
ঝিনুক খুঁজে খুঁজে পাওয়া গেল না একটাও মুক্তোর দানা
ভালো মেয়ের আখ্যান তার আবার ব্যাখ্যান
কোজাগরী পূর্ণিমায় তাহলে দেখা হবে আবার
(১৫)
বৃষ্টি এলো তুমি এলে পাড়া জুড়োলো
কথার মাঝে কথা হলো আড়ি হলো ভাব হলো
আমি ঘোড়ার ডিমের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম চৌরাস্তায়
ঘোড়া আমাকে কথা দিয়েছিল সে ডিম পাড়বে সন্ধ্যায়
কমলিনী তুমি কি জানো তোমার বিরহে কাঁদে কত বাবুসোনা
যে চলে যায় সে চলেই যায় পড়ে থাকে পাকাকলা আলুসেদ্ধ
পান্তাভাত
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
0 comments:
Post a Comment